| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিংকে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে হবেঃ সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ

রিপোর্টারের নামঃ Super Admin
  • আপডেট টাইম : 29-08-2025 ইং
  • 47187 বার পঠিত
বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিংকে মিথ্যা ও উসকানিমূলক  বক্তব্য দেওয়ার জন্য   ক্ষমা চাইতে হবেঃ   সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ
ছবির ক্যাপশন: দলজিৎ সিং

 বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৫৬তম মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মিথ্যা, তথ্যবিকৃত, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ।

শুক্রবার গণমাধ্যম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায। 

এসময় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফের চারদিন ব্যাপী যৌথ সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক দাবি করেন, ‘বিএসএফ বাংলাদেশে কাউকে পুশ-ইন করেনি, অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

নিয়ম মেনে সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত  পাঠানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, তথ্যবিকৃত, বিত্তহীন ও বিভ্রান্তিকর। 

প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, সীমান্তে বিএসএফের অমানবিক আচরণ,  আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন  করছে যা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে প্রমাণিত।

গত ২৩ মে ২০২৫ কুড়িগ্রাম সীমান্ত আসামের মরিগাঁও জেলার শিক্ষক খাইরুল ইসলামসহ ১৪ জনকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চোখ বেঁধে, নির্যাতন করে বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয়। অথচ খাইরুল ইসলামের নাগরিকত্ব মামলা তখনো ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিলো।

ফেনী সীমান্তে ২২ মে ২০২৫ ভারতের হরিয়ানার পাঁচজন নারী ও শিশুকে রাতের আঁধারে প্লাস্টিক বোতল বেঁধে ফেনী নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে।

তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং সম্পদ ছিনিয়ে তাদের বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে।

ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী রোহিঙ্গা (মে ২০২৫): আসামের মাটিয়া ক্যাম্প থেকে পাঁচজন নিবন্ধিত রোহিঙ্গাকে চোখ বেঁধে সীমান্তে এনে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করছি।

গত ২৫ জুন ২০২৫ 

অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুসহ ভারতীয় নাগরিকদের পুশ করা হয়, তাদেরকে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয় এর মধ্যে ছয়জন ভারতীয় নাগরিকের আধার কার্ড ও নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র দ্বারা নাগরিকও ছিলো, তাদেকেও বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। এদের মধ্যে দিল্লির সাহেবাবাদ গ্রামের মো: দানেশের স্ত্রী মোছাঃ সোনালি খাতুন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

এভাবে নারী ও শিশুসহ নাগরিকদের সীমান্তে ঠেলে দেওয়া শুধু অমানবিকই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে।

সীমান্তে  কেবলমাত্র আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয় বিএসএফ মহাপরিচালক এর এমন বক্তব্য নির্লজ্জতার সর্বনিম্ন সীমা ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, গত তিন বছরে নির্বিচারে সীমান্তে গুলি করে শতাধিক নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকে নিহত করেছে  বিএসএফ। নিহতদের মধ্যে কৃষি-শ্রমিক, গরু রাখাল এমনকি শিশু রয়েছে। 

এসব ঘটনার প্রমাণ হিসেবে বিজিবি ভিডিওফুটেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাক্ষ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই সংরক্ষণ করেছি আমরা, যা প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপন করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে সীমন্ত হত্যার বিচার চাওয়া হবে।

বিএসএফ মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরীকে অবিলম্বে তাঁর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সর্বদা কূটনৈতিক সৌজন্যের মাধ্যমে প্রতিবেশীর সম্পর্ক উন্নয়ন ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে।

তবে যদি বিএসএফ মহাপরিচালকের এই মিথ্যা বক্তব্য  প্রত্যাহার এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করা না করেন, তাহলে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ বাধ্য হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে।

প্রয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে শান্তিপূর্ণ লংমার্চসহ নানাবিধ  গণআন্দোলন চালানো উদ্যোগ নিবে।

এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোচিত সংবাদ - সত্যের কথা বলে | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় এম এইচ মিডিয়া গ্রুপ লি: