মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার ৩৭ নং গাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাতুনের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ করেছেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাইমা সুলতানা। তিনি বর্তমানে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অসুস্থতার কারণে ছুটি চাইলে প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাতুন তা প্রত্যাখ্যান করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে সহকারী শিক্ষককে বাধ্য করেন।
বিদ্যালয়ে গিয়েও একাধিকবার বমি করলে তাকে ছুটি না দিয়ে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তার জাহিদুল ইসলামকে ডেকে ক্যানোলা ও স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন প্রধান শিক্ষক।
সহকারী শিক্ষকের অভিযোগ, এটি ছিল সম্পূর্ণ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং এতে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ক্যানোলা খুলে ফেলে বিষয়টি আড়ালের চেষ্টা করা হয়।
এসময় প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাতুন তাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করেন বলে দাবি করেন তিনি।
সহকারী শিক্ষক জাইমা সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, “আমি অসুস্থ থাকলেও আমাকে জোর করে স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
পরে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে আমাকে জোর করে ইনজেকশন-স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
এতে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনদের খবর দিই। এখন ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাতুন নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেন, “সহকারী শিক্ষক প্রায়ই বৃহস্পতিবার বা রবিবার ছুটি নেন।
ওইদিনও ছুটি চাইলে আমি তাকে আবেদন নিয়ে আসতে বলি। পরে তিনি স্কুলে এসে প্রথমে সুস্থ আছেন বলেন।
পরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন আমি ডাক্তারকে ডেকে দিই।
তার চিকিৎসার পরই তিনি সুস্থ হন। বিকেলে তার স্বজনরা এসে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।”
অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, “কোনো ধরনের অপচিকিৎসা করা হয়নি। আমার চিকিৎসাতেই তিনি সুস্থ হয়েছেন।”
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সহকারী শিক্ষক সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ প্রতিকার দাবি করেছেন।
| ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
|---|---|
| যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
| আছর | ৪ টা বিকাল |
| মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
| এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
| জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |