জাহিদুর রহমান জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদীঃ
নরসিংদীতে টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডাঃ সৈয়দ আমিরুল হক শামীম।
তিনি বলেন,গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা হলো আমাদের বড় প্রতিবন্ধকতা। এটি কার্যক্রমের ব্যাহত ও উন্নয়নের বাধা সৃষ্টির করে।
অদ্য ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার সকালে জেলা তথ্য অফিস এর আয়োজিত সিভিল সার্জন অফিস হল রুমে আয়োজিত টাইফয়েড টিকা বিষয়ে সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আমীরুল হক শামীম এসব কথা বলেন।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন বলেন,গুজব ও মিথ্যাচার প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
টাইফয়েড টিকা নিলে শিশু ও কিশোরদের কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া কোনো তথ্য পেলে যাচাই করে পরে পরিবেশনের অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন ।
নরসিংদীর জেলায় ছয়টি উপজেলায় ৬ লাখ ১৫ হাজার ৭২২ জন শিশু কিশোর এর মাঝে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
৯ মাস বয়স হইতে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের উরুর মাংসপেশিতে এবং দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বাহুর উপরিভাগে ০.৫ এম এল ইনজেকশন দেওয়া হবে। শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টাইফয়েড টিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ ইং সাল এর তথ্য অনুযাযী প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করেন।
তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ কারীদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারী মানুষ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই রোগে আক্রান্তের হার বাংলাদেশে অনেক বেশি।
দি গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিস এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ ইং সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার জন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং ৮ হাজার জন এর বেশি মৃত্যুবরণ করেন। যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু।
নরসিংদীর জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ ওয়াইদুল কবির মোল্লা এর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মোঃ ইউসুফ আলী ।
নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি নিবারণ রায় ও অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডাঃ সৈয়দ আমিরুল হক শামীম আরো বলেন গুজব ও মিথ্যাচার হলো আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।
এটি কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং উন্নয়নের বাবা সৃষ্টির করে। আমরা নরসিংদী জেলার সকলের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।
| ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
|---|---|
| যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
| আছর | ৪ টা বিকাল |
| মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
| এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
| জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |